যেখানেই মেগা প্রকল্পের কথা হয়েছে, সেখানেই মেগা দুর্নীতি হয়েছে। স্বাধীনতার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকে নিজেদের বাপদাদার তালুক মনে করতেন তারা চেতনার কথা বলতেন। চেতনার কথা বলে বলে এই জাতিকে তারা লুণ্ঠন করেছেন, গণহত্যা চালিয়েছেন, তাদের সন্তানরা আকাম-কুকাম করে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে তারা বিদেশে পাচার করেছেন। শুধু তাদের এই গত সাড়ে ১৫ বছরে যার হিসাব বেরিয়ে এসেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় ৫ গুণ।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম। জামায়াত আমির বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিওনের অ্যাকাউন্টে ছিল সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা? পিওনের যদি এত টাকা হয় মালিকের কত টাকা? হ্যাঁ, মালিকের টাকাও বের হয়ে আসতেছে। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে মালিকের পরিবার শুধু একটা প্রকল্প থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। এভাবে যেখানেই মেগা উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে, সেখানেই মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা ব্রিজ তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তা দিয়ে কমপক্ষে চারটা পদ্মা ব্রিজ তৈরি করা যেত।
দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগমপাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন। তিনি বলেন, রক্তের আমানত রক্ষা করতে হবে। সম্মান দেখাতে হবে। তাই আমাদের সন্তানদের স্লোগান ছিল মাত্র একটা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার চাই। আমরা বৈষম্য চাই না। আমরা আমাদের গর্বের সন্তানদের কথা দিচ্ছি, তোমরা যেমন জীবন দিয়ে জাতিকে আরেকবার স্বাধীনতা এনে দিয়েছ। আমরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে তোমাদের দাবি পূরণ করব ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যেন এই তৌফিক আমাদের দান করেন।